জনগণকে মুক্তি দিতে হলে নির্বাচিত সরকার দরকার

HEALTH CARE ADVICE
By -
0
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র-জনতার বিজয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত পথসভায় বক্তব্য রাখছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। মঙ্গলবার সকালে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা বাসরোড এলাকায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ১৭ বছর আন্দোলন–সংগ্রামে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। দেশের মানুষ তাঁর বিচার চায়। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, যাঁরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ও যাঁরা সহযোগিতা করেছিলেন, তাঁদেরও বিচার করতে হবে।

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা বাসরোড এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ কথা বলেন।


বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা। বাংলাদেশের মানুষ যাতে ভোটদান থেকে বঞ্চিত না হয়। ফ্যাসিবাদী সরকার পুলিশ বাহিনী দিয়ে দিনের ভোট রাতে করেছে। তারা এ দেশের মানুষকে রক্তাক্ত করেছে। আজকের আনন্দের দিনে আমাদের বুকে ব্যথা ও যন্ত্রণা আছে। কারও ভাই, কারও বন্ধু আজ নেই। তাঁরা এ দেশের মানুষের ভোটারাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘জনগণকে মুক্তি দিতে হলে নির্বাচিত সরকার দরকার। নির্বাচিত সরকার ছাড়া জনগণের মুক্তি কারও পক্ষে সম্ভব নয়। এই দেশ জনগণের কথায় চলবে।’

১৭ বছরের ঘুষ দুর্নীতি এখনো চলছে দাবি করে গয়েশ্বর রায় বলেন, এখনো ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হয় না। অতীতে যাঁরা অন্যায় করেছেন, তাঁরা পদচ্যুত হয়েছেন। অনেকে দেশ ছেড়েছেন। অন্যায়কারীকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।


ধানের শীষের প্রার্থীদের বিজয়ী করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, উন্নয়নের প্রতীক হচ্ছে ধানের শীষ। ধানের শীষের বিজয় হলে দেশের উন্নয়ন হবে। ভোটারদের ঘরে ঘরে গিয়ে ধানের শীষে ভোট চাইতে হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনি নির্বাচন কখন দেবেন? নির্বাচন যত বিলম্বিত হবে, তত বেশি ষড়যন্ত্র চলবে। আওয়ামী লীগ এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এ সরকারের দায়িত্ব অবিলম্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা। এ সরকার যদি ব্যর্থ হয়, তবে জাতির ভবিষ্যৎ বলতে কিছুই থাকবে না। তাই অবিলম্বে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন করলে আমরা আপনাকে ফুলের মালা দেব। এর ব্যত্যয় ঘটলে আপনি কলঙ্কিত হবেন।’

পথসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি নিপুণ রায়, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিমউদ্দিন মাস্টার, ঢাকা জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোকাররম হোসেন, জিনজিরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু জাহিদ মামুন প্রমুখ।



Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)